কিভাবে মোজার ওপর করবেন? মাসেহে করার পদ্ধতী।
মোজার ওপর মাসেহের মাসআলা ও মাসেহে করার পদ্ধতী।
শীত মৌসুমে সাধারণত আমরা শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পায়ে মোজা পরি। এতে অজুর সময় মোজা খোলা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ফলে অনেকেই অজুর সময় পা ধোয়ার পরিবর্তে মোজা না খুলে মোজার ওপর মাসেহ করে থাকেন। এটি শরিয়তসম্মত একটি বিধান। বস্তুত মোজার ওপর মাসেহর বিধান মহান আল্লাহর একটি বড় অনুগ্রহ। আবু বকর, ওমর ও আলী (রা.)সহ বহু সাহাবায়ে কেরাম বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মুকিম ব্যক্তি একদিন এক রাত এবং মুসাফির তিন দিন তিন রাত মোজার ওপর মাসেহ করবে।’ (সহিহ বুখারি : ১/৫৮)।
তবে কোন ধরনের মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে এবং মাসেহ এর পদ্ধতি কি হবে- এ ব্যাপারে শরিয়তের কিছু দিকনির্দেশনা রয়েছে। চামড়ার মোজার ওপর মাসেহ জায়েজ। কিন্তু চামড়া ছাড়া সুতা বা পশমের তৈরি যেসব মোজা সচরাচর পাওয়া যায় এর ওপর মাসেহ সহিহ নয়। অবশ্য সুতা বা পশমের মোজায় নিম্নোক্ত শর্তগুলো পাওয়া গেলে তার ওপর মাসেহ জায়েজ হবে। শর্তগুলো হচ্ছে :
ক) মোজা এমন মোটা ও পুরু হওয়া যে, জুতা ছাড়া শুধু মোজা পায়ে দিয়ে তিন মাইল পর্যন্ত হাঁটা যায়। এতে মোজা ফেটে যায় না এবং নষ্টও হয় না।
খ) পায়ের সঙ্গে কোনো জিনিস দ্বারা বাঁধা ছাড়াই তা লেগে থাকে এবং তা পরিধান করে হাঁটা যায়।
গ) মোজা এমন মোটা, তা পানি চোষে না এবং ভেদ করে পানি পা পর্যন্ত পৌঁছায় না।
ঘ) মোজা পরিধান করার পর মোজার ওপর থেকে ভিতরের অংশ দেখা যায় না। সচরাচর ব্যবহৃত সুতা বা পশমের মোজায় যেহেতু এসব শর্ত পাওয়া যায় না তাই এর ওপর মাসেহ জায়েয হবে না। (জামে তিরমিজি : ১/১৫; বাদায়েউস সানায়ে : ১/৮৩; আলবাহরুর রায়েক : ১/১৮২; আদ্দুররুল মুখতার : ১/২৬৯)।
মাসেহ বৈধ হওয়ার শর্ত :
১. পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করে এবং পা ধুয়ে মোজা পরিধান করা। ২. মোজা দুটি দুই পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত আবৃত করে রাখা। ৩. মোজাদ্বয় পবিত্র হওয়া। ৪. মোজাটি চামড়া অথবা ওপরে বর্ণিত ধরনের মোজা হওয়া।
মাসেহর সময়সীমা
নাপাক হওয়ার (অজু আবশ্যক হওয়ার) পর থেকে নিয়ে মুকিমের জন্য একদিন এক রাত এবং মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত শরিয়ত মোজার ওপর মাসেহর অনুমোদন করে। গোসল ফরজ হলে মোজার ওপর মাসেহের বিধান প্রযোজ্য নয়। সুতরাং পবিত্র অবস্থায় মোজা পরিধানের পর থেকেই এ সময় সীমা শুরু হবে না। বরং পবিত্র অবস্থায় মোজা পরিধানের পর যখন অজু আবশ্যক হবে তখন থেকে নিয়ে সময়সীমা হিসেব করতে হবে।
মাসেহর পদ্ধতি
মোজা দুটির উপরাংশে হাত রাখবেন। উভয় হাতের আঙুল প্রশস্তরূপে খোলা অবস্থায় থাকবে। ডান হাতের আঙুল ডান পায়ের আঙুল এবং বাম হাতের আঙুল বাম পায়ের আঙুল বরাবর রেখে উভয় হাতের আঙুল প্রশস্তরূপে খোলা অবস্থায় পায়ের আঙুল থেকে শুরু করে গোড়ালি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে। ব্যাস, মাসেহ হয়ে গেল। (শরহে বেকায়া : ১/৯৯)।
শীত মৌসুমে সাধারণত আমরা শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পায়ে মোজা পরি। এতে অজুর সময় মোজা খোলা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ফলে অনেকেই অজুর সময় পা ধোয়ার পরিবর্তে মোজা না খুলে মোজার ওপর মাসেহ করে থাকেন। এটি শরিয়তসম্মত একটি বিধান। বস্তুত মোজার ওপর মাসেহর বিধান মহান আল্লাহর একটি বড় অনুগ্রহ। আবু বকর, ওমর ও আলী (রা.)সহ বহু সাহাবায়ে কেরাম বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মুকিম ব্যক্তি একদিন এক রাত এবং মুসাফির তিন দিন তিন রাত মোজার ওপর মাসেহ করবে।’ (সহিহ বুখারি : ১/৫৮)।
তবে কোন ধরনের মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে এবং মাসেহ এর পদ্ধতি কি হবে- এ ব্যাপারে শরিয়তের কিছু দিকনির্দেশনা রয়েছে। চামড়ার মোজার ওপর মাসেহ জায়েজ। কিন্তু চামড়া ছাড়া সুতা বা পশমের তৈরি যেসব মোজা সচরাচর পাওয়া যায় এর ওপর মাসেহ সহিহ নয়। অবশ্য সুতা বা পশমের মোজায় নিম্নোক্ত শর্তগুলো পাওয়া গেলে তার ওপর মাসেহ জায়েজ হবে। শর্তগুলো হচ্ছে :
ক) মোজা এমন মোটা ও পুরু হওয়া যে, জুতা ছাড়া শুধু মোজা পায়ে দিয়ে তিন মাইল পর্যন্ত হাঁটা যায়। এতে মোজা ফেটে যায় না এবং নষ্টও হয় না।
খ) পায়ের সঙ্গে কোনো জিনিস দ্বারা বাঁধা ছাড়াই তা লেগে থাকে এবং তা পরিধান করে হাঁটা যায়।
গ) মোজা এমন মোটা, তা পানি চোষে না এবং ভেদ করে পানি পা পর্যন্ত পৌঁছায় না।
ঘ) মোজা পরিধান করার পর মোজার ওপর থেকে ভিতরের অংশ দেখা যায় না। সচরাচর ব্যবহৃত সুতা বা পশমের মোজায় যেহেতু এসব শর্ত পাওয়া যায় না তাই এর ওপর মাসেহ জায়েয হবে না। (জামে তিরমিজি : ১/১৫; বাদায়েউস সানায়ে : ১/৮৩; আলবাহরুর রায়েক : ১/১৮২; আদ্দুররুল মুখতার : ১/২৬৯)।
১. পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করে এবং পা ধুয়ে মোজা পরিধান করা। ২. মোজা দুটি দুই পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত আবৃত করে রাখা। ৩. মোজাদ্বয় পবিত্র হওয়া। ৪. মোজাটি চামড়া অথবা ওপরে বর্ণিত ধরনের মোজা হওয়া।
মাসেহর সময়সীমা
নাপাক হওয়ার (অজু আবশ্যক হওয়ার) পর থেকে নিয়ে মুকিমের জন্য একদিন এক রাত এবং মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত শরিয়ত মোজার ওপর মাসেহর অনুমোদন করে। গোসল ফরজ হলে মোজার ওপর মাসেহের বিধান প্রযোজ্য নয়। সুতরাং পবিত্র অবস্থায় মোজা পরিধানের পর থেকেই এ সময় সীমা শুরু হবে না। বরং পবিত্র অবস্থায় মোজা পরিধানের পর যখন অজু আবশ্যক হবে তখন থেকে নিয়ে সময়সীমা হিসেব করতে হবে।
মাসেহর পদ্ধতি
মোজা দুটির উপরাংশে হাত রাখবেন। উভয় হাতের আঙুল প্রশস্তরূপে খোলা অবস্থায় থাকবে। ডান হাতের আঙুল ডান পায়ের আঙুল এবং বাম হাতের আঙুল বাম পায়ের আঙুল বরাবর রেখে উভয় হাতের আঙুল প্রশস্তরূপে খোলা অবস্থায় পায়ের আঙুল থেকে শুরু করে গোড়ালি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে। ব্যাস, মাসেহ হয়ে গেল। (শরহে বেকায়া : ১/৯৯)।
No comments